আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব শুধু বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণীই ছিলেন না, ছিলেন বঙ্গবন্ধুর সার্বক্ষণিক রাজনৈতিক সহযোদ্ধা।’
বেগম ফজিলাতুননেছা মুজিবের ৯০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার (৮ আগস্ট) সকালে বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সংসদ ভবনের বাসভবন থেকে অনলাইন ব্রিফিংয়ে এই কথা বলেন তিনি।
বঙ্গমাতার কর্মময় জীবনের ওপর আলোকপাত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির দীর্ঘ মুক্তি সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়ে শুধু বাঙালি জাতির পিতা আর বাংলাদেশের স্রষ্টাই হননি, তিনি হয়ে উঠেছিলেন একজন বিশ্ববরেণ্য রাজনীতিবিদ ও রাষ্ট্রনায়ক। আর এর পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তারই সহধর্মিণী ও বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের সহযোদ্ধা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুননেছা মুজিব।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বঙ্গমাতা বেগম মুজিবের সঙ্গে বিশ্বের খ্যাতিমান নারী এলিনর রুজেভেল্টের অনেক সাদৃশ্য রয়েছে, এলিনর রুজেভেল্ট যুক্তরাষ্ট্রের চারবার নির্বাচিত ও দীর্ঘকালীন সময়ের প্রেসিডেন্ট ফ্রন্কলিন ডি রুজেভেল্টের স্ত্রী। বেগম মুজিব আর এলিনর রুজেভেল্ট দুজনই শৈশবে তাদের বাবা-মাকে হারিয়েছিলেন, দুজনই তাদের চাচাতো ভাইকে বিয়ে করেছিলেন আর দুজনই তাদের স্বামীর রাজনীতিতে অসামান্য ভূমিকা রেখেছিলেন। তবে তাদের দুজনের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে-শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব একটা রাষ্ট্রের স্বাধীনতা অর্জনের ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ অবদান রেখেছিলেন, আর এলিনর রুজেভেল্টের ক্ষেত্রে তা হয়নি।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ডাক অর্থাৎ ৭ মার্চের ভাষণের আগ মুহূর্তে বঙ্গমাতাই জাতির পিতাকে চূড়ান্ত অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিলেন।’
এর আগে ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা বনানীতে শহীদ ফজিলাতুননেছা মুজিবের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ ছাড়াও সংগঠনটি ঢাকা মহানগর শাখা, সহযোগী সংগঠনের নেতারা এবং বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।