রাত ভোর হতেই অযোধ্যার রাম মন্দিরের ভূমি পুজন অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠান ঘিরে খুশির আবহ বিজেপি মহলে। এদিকে রাজ্য জুড়ে বুধবার সাপ্তাহিক লকডাউন। মঙ্গলবারই তাই সেই খুশি জাহির করতে শিলিগুড়ির রাজপথগুলিতে পতাকা লাগিয়ে শহরকে সুসজ্জিত করার কর্মসূচি চলছিল বিজেপির। বিজেপির দাবি, করোনা সংক্রমণ রোধে সামাজিক স্বাস্থ্য বিধি গুলি যথাযথ পালন করেই এদিন তারা পতাকা লাগাতে যায়। আর তখনই হিলকার্ট রোড থেকে বিজেপি কর্মীদের আটক করে থানায় নিয়ে যায় শিলিগুড়ি থানার পুলিশ।
এই ঘটনায় প্রতিবাদে সরব হয় বিজেপি কার্যকর্তারা। একদিকে থানার ভেতরেই প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে আটক হওয়া বিজেপি কর্মীরা। অন্যদিকে থানা মোড়ে মোমবাতি জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি কর্মীরা। পথ অবরোধ তুলে দিতে গেলে শুরু হয় বিজেপি কর্মীদের সাথে পুলিশের ধ্বস্তাধস্তি। বাদ যায়নি বিজেপি মহিলা কর্মীরাও। এদিন টানতে টানতে আরও কিছু বিজেপি কর্মীদের ফের আটক করে পুলিশ। বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক রাজু সাহা অভিযোগ করে বলেন, এদিন আমরা সামাজিক স্বাস্থ্য বিধিগুলো মেনেই মুখে মাস্ক পড়ে ও সামাজিক দুরত্ব পালন করেই পতাকা লাগাচ্ছিলাম। তা স্বত্বেও আমাদের গ্ৰেফতার করে পুলিশ।
অন্যদিকে শিলিগুড়ির বাগডোগরা এলাকায় রামমন্দীরে ভুমি পুজন অনুষ্ঠানের আনন্দে এদিন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কার্যকর্তারা মিছিল করতে গেলে বাগডোগরার বিহার মোড়ে তাদের পথ আটকায় বাগডোগরা থানার পুলিশ। প্রতিবাদে সেখানে বসেই অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে তারা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। বিশ্বহিন্দু পরিষদের কার্যকর্তাদের সাথে পুলিশের বচসার সৃষ্টি হয়। পরে সেখানেও শুরু হয় পুলিশ ও পরিষদের কর্মীদের ধ্বস্তাধস্তি। প্রচুর বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কর্মীদের আটক করে পুলিশ। প্রতিবাদে বাগডোগরা থানার ভেতরে ও বাইরে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কর্মীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। (খবর- ভারতীয় দৈনিকের)