কাওছার আলম/
ফেসবুক স্ট্যাটাস বাংলাতে কিংবা ইংরেজিতে হোক তাতে বাংলা ভাষার কিছু যাবে আসবে না৷ কিন্তু গ্লোবাল ভিলেজ ও মুক্তবাজার অর্থনীতির সময়ে রক্ত দিয়েছি, বাঁশ দিয়েছি, স্বাধীনতা এনেছি- এগুলো নিয়ে থাকলে জার্মানি তো দূরে থাক ইন্ডিয়ান পিয়াজের জন্য হাপিত্যিশ করে থাকতে হবে।
তৃতীয় বিশ্বের বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী হতে হলে ইংরেজিতো শিখতে হবেই,আগামীতে বোধ করি চাইনিজও শিখতে হবে।
বাংলাদেশের কয়েক লাখ শ্রমিক বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মরত। শুধু যোগাযোগ দক্ষতা বিশেষ করে ইংরেজি না জানার জন্য পারিশ্রমিক কম পায়।
জাতিসংঘ মিশনে ইংরেজিতে দক্ষতার অভাবে বাংলাদেশ থেকে পুলিশের ইন্সপেক্টর লেভেলের কর্মী কম সুযোগ পাচ্ছে।
ইংরেজি না জানলে বিশ্বে উচ্চশিক্ষার পথ যেমন বন্ধ হয়ে যাবে ঠিক তেমনি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পথও সংকুচিত হতে থাকবে।
আগামীর শ্রমবাজার হবে বর্ডার লেস। ইন্টারনেট ভিক্তিক। যা ইংরেজি ভাষার মাধ্যমেই সম্পন্ন হবার সম্ভাবনা বেশি। চাইনিজ ভাষাও হয়তো কিছুটা জায়গা দখল করবে।
আন্তর্জাতিক রাজনীতি, অর্থনীতি, সাহিত্য, শ্রমবাজার সবকিছুই নিয়ন্ত্রিত হয় ইংরেজিতে।
খুব খেয়াল- প্রতিবেশি রাষ্ট্রগুলো কী করছে? বিশেষত যাদের স্ট্যাটাস মোটামুটি আমাদের মানের।
বাংলা বিভাগেও অনুবাদ সাহিত্য পড়ানো হয়। ম্যাকবেথ, ওথেলো ইত্যাদি। কিন্তু অনুবাদ চর্চাটা কে করবে? বাংলা বিভাগে বাংলা থেকে ইংরেজি ও ইংরেজি থেকে বাংলা অনুবাদের কোর্স রাখা উচিত।
পুনশ্চ: কবি গুরুর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শেষ না হলেও ইংরেজি ভাষাটা জানতেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ইংরেজি ভাষা রপ্ত করেছিলেন, বঙ্গবন্ধু একাডেমিক ক্যারিয়ার অসাধারণ না হলেও ইংরেজিতে বক্তৃতা শুনে ইংরেজির প্রতি দক্ষতার প্রমাণ মেলে।
শেরে বাংলা, মাওলানা ভাসানী প্রমুখ বাঙালিও দুর্দান্ত ইংরেজি জানতেন।
ইংরেজিকে অবহেলার সুযোগ নেই। হিন্দি মুভি, গান, কার্টুন বাদ দিয়ে বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি ভাষাটা চর্চা করা জরুরি।