নিজস্ব প্রতিবেদক/
লালপুর উপজেলার দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের বসন্তপুর বিলে অতি বৃষ্টির কারনে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষে সোমবার (২৪ আগস্ট) সারাদিন কোদাল নিয়ে হাজার-হাজার জনতা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী পুকুরের পাড় কেটে পানি নিষ্কাষনের ব্যবস্থা করেছে। এতে সাময়িকভাবে জলাবদ্ধতা নিরসনের সম্ভাবনা থাকলেও, স্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতা নিরসনের ক্ষেত্রে রয়েছে চরম সংশয়।এ জন্য খালটি সরকারী ভাবে কর্তনের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহায়তা চেয়েছেন এলাকার জনগন।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বসন্তপুরের খাল বন্ধ করে পুকুর কাটার ফলে বৃষ্টির পানি জমে গত কয়েক মাস ধরে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় ভোগান্তিতে রয়েছে লালপুর উপজেলার দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ। বার বার খাল পুনঃ খননের জন্য কমিটি গঠন করা হলেও বিলম্বিত হয় কতিপয় পুকুর মালিকের কারণে।গত ২৭ জুলাই পানিবন্দী মানুষদের দেখতে সরেজমিন পরিদর্শনে এসে নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল ২ দিনের মধ্যে খাল দখলকারী পুকুর মালিকদের মাছ তুলে নিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থার নির্দেশ দেন। সাংসদের নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান ও সাবেক চেয়ারম্যান আজিজুল আলম মক্কেলকে দায়িত্ব দেন। কিন্তু সাবেক চেয়ারম্যান খালের মধ্যকার নিজ পুকুর বাচাতে খাল অবমুক্ত না করে রাস্তা খননে মনোনিবেশ করায় পানি নিষ্কাশন প্রক্রিয়া ভেস্তে যায়।পরবর্তীতে স্থানীয় সাংসদের ২ জন প্রতিনিধি, ৫ জন পুকুর মালিক ও এলাকার ৫ জন গন্যমান্য ব্যক্তি নিয়ে ১২ সদস্য বিশিষ্ট আরেকটি কমিটি করা হয়। সেখানেও সাবেক চেয়ারম্যান ও তার দু ছেলের পুকুর বাচানোর চেষ্টায় পানি নিষ্কাশন প্রক্রিয়া ভন্ডুল হয়ে যায়।এর মধ্যেই গত বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় জমে থাকা পানিতে ডুবে মারা গেছে ইউনিয়নের মনিহারপুর গ্রামের মুন্নার শিশু কন্যা মুন্নী (৫)। এতে টনক নড়ে প্রশাসনের যার ফলে নকশা অনুযায়ী খাল কেটে পানি নিষ্কাশনের জন্য রোববার (২৩ আগস্ট) মাইকিংয়ের ব্যবস্থা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মুল বানীন দ্যুতি। নির্বাহী অফিসারের ডাকে সাড়া দিয়ে হাজারো জনতা তার উপস্থিতিতে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করেন।এ ব্যাপারে লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মুল বানীন দ্যুতি জানান, আগামী শুকনো মৌসুমে খালটি পুনঃ খননের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।