পদ্মাপ্রবাহ ডেস্ক/
একটি জাতীয় দৈনিকে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে লেখা প্রবন্ধের জেরে আইনি নোটিশের জবাব দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। রবিবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া ওই ব্যক্তির আইনজীবীকে নোটিশের জবাব পাঠান। এতে আইনি নোটিশ প্রত্যাহার চেয়েছেন অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।
৭ আগস্ট দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর লেখা ‘রবীন্দ্রনাথ কেন জরুরি’ শীর্ষক একটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। প্রবন্ধটি ‘আপত্তিকর’ উল্লেখ করে গত ১৬ আগস্ট আইনজীবীর মাধ্যমে তাকে নোটিশ পাঠান মুহম্মদ মাহবুব আলম নামে এক ব্যক্তি।
তার আইনজীবীর নোটিশের জবাবে ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ‘প্রবন্ধে তার (অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী) নিজস্ব মতামতের প্রতিফলন ঘটেছে, যার পেছনে রয়েছে তার নিজের মতো করে রবীন্দ্রনাথের সাহিত্য পাঠ। মত প্রকাশের অধিকার সংবিধান কর্তৃক স্বীকৃত এবং প্রবন্ধে অপরকে অপমান বা হেয় করার কোনও উপাদান ছিল না। সুদীর্ঘ ছয় দশকের অধিক কাল ধরে সাহিত্য, দর্শন ও অন্যান্য বিষয়ে লেখালেখির কারণে বাংলাদেশের সাহিত্য জগতে স্বীকৃত এবং পাঠক নন্দিত তিনি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে যেভাবে পাঠ করেছেন তার ভিত্তিতেই তিনি উপরোক্ত প্রবন্ধে নিজস্ব মতামত তুলে ধরেছেন।’
আইনজীবী বলেন, ‘তিনি (অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী) মনে করেন, সাহিত্য আলোচনার ক্ষেত্রে কারও আইনি অধিকার ভঙ্গের ব্যাপার থাকে না কারণ এতে সত্য, মিথ্যার উপস্থিতি থাকে না, থাকে কোনো বিষয়কে দেখার, বোঝার ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি।’
নোটিশ গ্রহীতা আইনজীবীর উদ্দেশে জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ‘আপনার মোয়াক্কেল বেআইনি, হয়রানিমূলক, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও অপ্রয়োজনীয় আইনি নোটিশ প্রেরণ করে সাংবিধানিক অধিকারে অযাচিত হস্তক্ষেপ করেছেন যা আপনার মোয়াক্কেল কর্তৃক সুস্পষ্ট আইনের লঙ্ঘন’।