নিজস্ব প্রতিবেদক/
কোন মামলা হয়নি, অভিযোগও দায়ের হয়নি আরজুর (৪৮) বিরুদ্ধে। কিন্তু তাকে চারদিন ধরে পাবনার ঈশ্বরদী থানায় আটকে রাখা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, পাকশী ইউনিয়নের বাঘইল গ্রামে একটি বিয়ের ঘটনায় পলাতক বর-কনের কারণে ছেলের বাবা আরজুকে গত ২১ আগস্ট রাত থেকে থানায় এনে রাখা হয়েছে।
ঈশ্বরদী থানার ওসি (তদন্ত) অরবিন্দ সরকার ও সাব-ইন্সপেক্টর সাইফুল ইসলামের ভাষ্য, কনেকে থানায় জমা দিলে আরজুকে ছাড়া হবে।
স্থানীয়রা জানায়, পাকশীর বাঘইল গ্রামের বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী আরজুর ছেলে রকি একই এলাকার এক মেয়ের (১৫ বছর) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে গোপনে গত শুক্রবার বিয়ে করে পলাতক রয়েছে। এই ঘটনায় মেয়ের অভিভাবক থানায় অভিযোগ করলে ছেলেকে না পেয়ে তার বাবাকে ধরে নিয়ে আসে পুলিশ।
সোমবার সংবাদকর্মীরা এ ব্যাপারে ঈশ্বরদী থানার ওসি (তদন্ত) অরবিন্দ সরকারের কাছে জানতে চাইলে তিনি আরজু নামে কাউকে থানায় আটকে রাখার বিষয়টি প্রথমে অস্বীকার করেন। কিন্তু পরে বলেন, যারা আপনাদের এই তথ্য দিয়েছে তাদের বলেন মেয়েটিকে এনে থানায় জমা দিতে।
অভিযোগ এন্ট্রি না করে কিভাবে একজন নিরপরাধ মানুষকে থানায় আটকে রাখা যায় এই প্রশ্নের কোন জবাব না দিয়ে বিরক্ত প্রকাশ করেন ওসি তদন্ত অরবিন্দ সরকার।
এ বিষয়ে সাব-ইন্সপেক্টর সাইফুল ইসলামকে তার মোবাইলে একাধিক সংবাদকর্মী ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।