প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী গত ১ এপ্রিল থেকে ২২ আগস্ট পর্যন্ত প্রায় সাড়ে পাঁচ মাসে দেশে ফিরেছেন ৭৮ হাজার ৪৩ জন কর্মী। এর মধ্যে নারী কর্মী রয়েছেন ৪ হাজার ৭৩২ জন। গড় হিসাবে প্রতি মাসে দেশে ফিরছেন ১৫ হাজার ৬০৮ জন।
করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক কার্যক্রম অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়েছে। প্রবাসী কর্মীদের অনেকেই কাজ হারিয়েছেন। ফলে করোনাকালে তার দেশে ফিরতে বাধ্য হয়েছেন।
প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২৬টি দেশ থেকে প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশে ফিরেছেন। সবচেয়ে বেশি ফিরেছেন সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) থেকে। মোট ২৫ হাজার ৬৫৩ জন এসেছেন দেশটি থেকে। যদিও ফেরত আসা কর্মীদের অনেকেই ছুটিতে এসেছেন। আবার করোনার নেতিবাচক প্রভাবে কর্মস্থল বন্ধ হওয়ার কারণেও অনেকে দেশে ফিরেছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার তাদের কর্মস্থলে ডাকা হবে বলে জানিয়েছেন অনেকে।
সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছেন ১৫ হাজার ৩৮৯ জন। জানা গেছে, তাদের অনেকেই বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ করে আউট পাশ নিয়ে দেশে এসেছেন। করোনার কারণে বড় ক্ষতির মুখে পড়েছে পর্যটননির্ভর অর্থনীতির দেশ মালদ্বীপ। দেশটি থেকে ফিরেছেন ৭ হাজার ৯০৯ জন। আকামা বা ভিসার মেয়াদ না থাকা, অবৈধ হওয়ার পর সাধারণ ক্ষমার আওতায় ও কারাভোগ শেষে কুয়েত থেকে ফিরেছেন ৭ হাজার ৩২৯ জন। কাজ না থাকায় কাতার থেকে এসেছেন ৬ হাজার ৬০১ জন।
এছাড়া ওমান থেকে ৩ হাজার ৮৮৪, মালয়েশিয়া থেকে ২ হাজার ২২৬, ইরাক থেকে ২ হাজার ১৩৬, তুরস্ক থেকে ১ হাজার ৯৪৮, সিঙ্গাপুর থেকে ১ হাজার ৩৮২, জর্ডান থেকে ১ হাজার ২৬, লেবানন থেকে ৯৭৬, বাহরাইন থেকে ৭৪৬, ইতালি থেকে ১৫১, ভিয়েতনাম থেকে ১২২, দক্ষিণ কোরিয়া ও রাশিয়া থেকে ফিরেছেন ১০০ জন করে। শ্রীলঙ্কা থেকে ৮০, নেপাল থেকে ৫৫, কম্বোডিয়া থেকে ৪০, মিয়ানমার থেকে ৩৯, মরিশাস থেকে ৩৬, থাইল্যান্ড থেকে ২০, হংকং থেকে ১৬ এবং জাপান আট জন কর্মী এ সময়ে দেশে ফেরত এসেছেন।