নিজস্ব প্রতিবেদক/
বন্ধ হওয়া জাতীয় জুটমিল পূণরায় চালু ও মজুরী কমিশনের এরিয়াসহ সকল পাওনা পরিশোধের দাবীতে বুধবার সকালে সিরাজগঞ্জে মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ করেছে শ্রমিক কর্মচারিরা। জাতীয় জুটমিলের প্রধান গেইটের সামনে বিপুল সংখ্যক শ্রমিক-কর্মচারীরা বিক্ষোভ ও মানববন্ধনে অংশ নেয় ।
বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের দাবী, শ্রমিক-কর্মচারি নেতৃবৃন্দদের সাথে আলোচনা চলা অবস্থায় হঠাৎ করেই গত ২ জুলাই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে জাতীয় জুটমিলসহ দেশের ২৫টি পাটকল। করোনা দুর্যোগ পরিস্থিতিতে কারখানা বন্ধ করে দেয়া হলেও শ্রমিকদের প্রাপ্য বকেয়া ও ঈদ বোনাস এখন পর্যন্ত পরিশোধ করা হয়নি। এ কারণে সিরাজগঞ্জ জাতীয় জুটমিলের ২২শ শ্রমিক-কর্মচারি মানবেতর জীবনযাপন করছে। গোল্ডেন হ্যান্ডেশেকের মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা পাওয়ার কথা থাকলেও যেসব শ্রমিকদের চাকরীর বয়স অল্প তারা সামন্য অর্থই পাবেন। যুবক সক্ষম শ্রমিকসহ এইসব মিলের ৪০ হাজার বদলী শ্রমিকদের বাড়ি যেতে হচ্ছে একেবারেই শূন্য হাতে। জাতীয় জুটমিলসহ ২০০৭ সালে বন্ধ হওয়া এবং ২০১১ সালের পর চালু হওয়া ৫টি মিলের অবস্থা আরও করুন। মজুরী কমিশনের বিপরীতে আইনানুগভাবে ২০১৫ সালের ১ জুলাই থেকে কার্যকর শ্রমিকদের বকেয়া পাওনা , করোনাজনিত সাধারণ ছুটি বাবদ পাওনা ও নিয়ম অনুযায়ী ঈদ বোনাস পরিশোধ না করে করোনা দুর্যোগের মধ্যে হঠাৎ করেই মিল বন্ধ করে দেয়া হয়। ফলে হাজার হাজার শ্রমিক-কর্মচারী বেকার হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে।
বক্তারা বলেন, একদিকে যখন দেশের মিলগুলো বন্ধ হচ্ছে অপরদিকে ভারতের মিলগুলো চালু করা হচ্ছে। আমাদের দেশের পণ্য ভারতীয় সিল মেরে বিদেশের বাজারে বিক্রি হচ্ছে। আর ভারতের স্বার্থে এসব মিলগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এ সময় বক্তারা কৃষক ও শ্রমিকদের স্বার্থে জাতীয় জুটমিলসহ সকল পাটকল বন্ধের সিদ্ধান্ত অবিলেম্বে প্রত্যাহার, রাষ্ট্রীয় মালিকানায় রেখে লাভজনকভাবে মিল পরিচালনার সকল ব্যবস্থা গ্রহণ ও শ্রমিক-কর্মচারিদের সাড়ে চার বছরের মজুরী ও বোনাসের আইনানুগ বকেয়া পরিশোধ এবং করোনাকালীর ছুটির টাকা প্রদানের দাবী জানান।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের আহবায়ক বরকতুল্লাহ, জাতীয় জুটমিল শ্রমিক-কর্মচারি সমন্বয় পরিষদের আহবায়ক শহিদুল ইসলাম ও যুগ্ম আহবায়ক সেলিম উদ্দিন, ছমের আলী ও ছানোয়ার হোসেন।