পদ্মাপ্রবাহ ডেস্ক : করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৫০ জন মারা গেছেন। এখন পর্যন্ত মারা গেছেন তিন হাজার ২৩৪ জন। একই সময়ে সাত হাজার ৭১২টি নমুনা পরীক্ষা করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও এক হাজার ৯১৮ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দুই লাখ ৪৪ হাজার ২০ জনে দাঁড়াল।
মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে অনলাইনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দৈনন্দিন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
সারাদেশের নমুনা পরীক্ষার তথ্য তুলে ধরে নাসিমা সুলতানা জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় ৭ হাজার ৭১২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ১২ লাখ ১ হাজার ৪২৮ জনের। নতুন পরীক্ষা করা নমুনায় আরও ১ হাজার ৯১৮ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। এ নিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২ লাখ ৪৪ হাজার ২০ জন। আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে আরও ৫০ জনের। ফলে ভাইরাসটিতে মোট মারা গেলেন ৩ হাজার ২৩৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ১ হাজার ৯৫৫ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১ লাখ ৩৯ হাজার ৮৬০ জন।
এর একদিন আগে সোমবার (৩ আগস্ট) দুপুরে আরও ৪ হাজার ২৪৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১ হাজার ৩৫৬ জনের দেহে করোনা শনাক্ত এবং আক্রান্তদের মধ্যে আরও ৩০ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর।
এদিকে পরিসংখ্যানবিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়ের্ল্ডোমিটারসের তথ্যমতে, সোমবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৯৭ হাজার ৭০০ জনের এবং আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৮৪ লাখ ৫৬ হাজার ৬৮২ জনের। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ কোটি ১৬ লাখ ৯০ হাজার ৬৭২ জন।
গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১৫টি দেশে ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে কোভিড-১৯।
বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হলেও প্রথম মৃত্যুর খবর আসে ১৮ মার্চ। দিন দিন করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ায় নড়েচড়ে বসে সরকার। ভাইরাসটি যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য ২৬ মার্চ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয় সব সরকারি-বেসরকারি অফিস। কয়েক দফা বাড়িয়ে এ ছুটি ৩০ মে পর্যন্ত করা হয়। ছুটি শেষে করোনার বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যেই ৩১ মে থেকে দেশের সরকারি-বেসরকারি অফিস খুলে দেয়া হয়। তবে বন্ধ রাখা হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।