মোস্তাফিজুর রহমান, রাজশাহীঃ মাঠ থেকে পেঁয়াজ উত্তোলনের মৌসুম চলছে। কৃষকরা কেউ মাঠ থেকে, আবার কেউ কেউ হাট-বাজারে আড়ৎ এ এসে মাঠের পেঁয়াজ বিক্রয় করছে। গত পহেলা বৈশাখে যে ঋণগ্রস্ত পেঁয়াজ চাষী মৃত মীর রুহুল আমীন ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করলেন তাঁর পরিবার তাঁদের চাষকৃত পেঁয়াজ সঠিক মূল্যে বিক্রয় করতে পারলেন কিনা তার খোঁজ নেয়া দরকার।
যেমন চিন্তা তেমন কাজ, দেরি না করে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার ইউএনও শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সময়টা হবে সকাল ১০.৩০ , বাউসা ইউনিয়নের মাঝপাড়া গ্রামের মৃত মীর রুহুল আমীন বাড়িতে উপস্থিত ।
সার্বিক দিক নিয়ে কথা বললেন মৃত মীর রুহুল আমীনের স্ত্রী মোছা: মরিয়মের সাথে। উনি জানালেন জমি বর্গা নিয়ে পেঁয়াজ চাষ করায় খরচ বেশি হয়েছে, তাই বর্তমান বাজার মূল্যে বিক্রয় না করে তিনি পেঁয়াজ সংরক্ষণ করে অফ সিজনে যখন দাম বেশি তখন বিক্রয় করতে চান।
ঋণের কথা জানতে চাইলে তিনি জানান, ছেলে ঢাকায় ছোট একটি চাকরি করে সেহেতু সংসার চালিয়ে ঋণ পরিশোধ করা দুশ্চিন্তার বিষয়। এমন কথা আর সকল দিক চিন্তা করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাম্মী আক্তার মোছা: মরিয়মের হাতে ৩০ কেজি চাল ও কিছু আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন । সেই সাথে এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন থেকে কোন সহযোগিতার প্রয়োজন হলে জানাতে তাঁকে অনুরোধ করন।
উলেখ্য, গত সোমবার (১৪ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে বাঘা উপজেলার আড়ানী রেলস্টেশন এলাকায় ট্রেনের নিচে আত্মহত্যা করেন রুহুল আমিন (৬০) নামের এক বৃদ্ধ। বৃদ্ধ ছিলেন পেঁয়াজ চাষি । তার এই আত্মহত্যার ভিডিও ভাইরাল হয় নেট দুনিয়ায়।