দেশে চালু থাকা পোশাক কারখানায় ৯২ শতাংশের অধিক শ্রমিক কাজে নিয়োজিত আছেন। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ ডেভেলপমেন্টের (সিইডি) ম্যাপড ইন বাংলাদেশ (এমআইবি) প্রকল্পের ত্বরিত জরিপের এক ফলাফলে এ তথ্য উঠে এসেছে। সম্প্রতি ‘কভিড-১৯ অতিমারীকালীন সময়ে পোশাক শিল্পের পরিস্থিতি: পোশাক খাত কি পুনরুদ্ধারের পথে?’ শীর্ষক একটি ওয়েবিনারের আয়োজন করে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, সেখানে জরিপের এ তথ্য জানানো হয়।
এমআইবি প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের ত্বরিত জরিপ অনুযায়ী, তথ্য সংগ্রহের জন্য এমআইবি ৩ হাজার ৩৪২টি কারখানায় ফোনে যোগাযোগ করে। এর মধ্যে ২ হাজার ৩৩৪টি কারখানা তাদের তথ্য দেয়। ফোনে তথ্য প্রদান করা ২ হাজার ৩৪টি কারখানার মধ্যে ১ হাজার ৮৫০টি কারখানা বর্তমানে চালু আছে। ২৮৬টি কারখানা সাময়িকভাবে এবং ১৯৮টি কারখানা পুরোপুরিভাবে বন্ধ।
চালু থাকা এবং সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়া কারখানাগুলোর (মোট ২ হাজার ১৩৬টি কারখানা) মধ্যে ২৫ দশমিক ১৪ শতাংশ কারখানা গত জুনের পর তাদের কার্যক্রম আংশিকভাবে চালু রাখার কথা জানিয়েছে। তবে ৩০ দশমিক ৫৭ কারখানা জুনের পর চালু থাকার ব্যাপারে অনিশ্চয়তার মধ্যে আছে বলে জানায়। এর মধ্যে বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএর সদস্য কারখানাগুলো তাদের উৎপাদনক্ষমতার গড়ে ৭০ দশমিক ৫৫ শতাংশ ব্যবহার করছে বলে জরিপের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। যেখানে সদস্যবিহীন কারখানাগুলো তাদের উৎপাদনক্ষমতার ৫৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ ব্যবহার করছে।
ওয়েবিনারে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. রহিম বি তালুকদার, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, পেনসিলভানিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির শ্রম, কর্মসংস্থান সম্পর্ক এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. মার্ক এনার, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি এবং সামাজিক বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহিদুর রহমান, বিজনেস স্কুলের সহকারী অধ্যাপক শামীম এহসানুল হক অংশ নেন। অনলাইন ্প্লাটফর্মে আয়োজিত এ ওয়েবিনারে বাংলাদেশসহ অস্ট্রেলিয়া, হংকং, নেদারল্যান্ডস, স্পেন, তানজানিয়া, যুক্তরাজ্য, ডেনমার্ক ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে অংশগ্রহণকারীরা যোগ দেন।