নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নাটোরের বড়াইগ্রামের আকলিমা খাতুন জুঁই (৭) হত্যার চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে ঘাতকরা। শিশুটিকে পালাক্রমে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে । তার মৃত্যু নিশ্চিত করতে ঘাড় মটকে দেয় ঘাতকরা। শুধু তাই নয় লাশটি যাতে কেহ চিনতে না পারে সেজন্য অ্যাসিড জাতীয় তরল পদার্থ দিয়ে শিশুর মুখ পুড়ানোর চেষ্টা করে।’রোববার (২০ এপ্রিল) দুপুরে পাবনার চাটমোহর থানায় স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে এক প্রেসব্রিফিংকালে এসব তথ্য জানান থানার ওসি মঞ্জুরুল আলম।তিনি জানান, ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখের দিন গাঁজা সেবন করা আর দেহ ব্যবসায়ী মেয়ে নিয়ে এসে আনন্দ ফুর্তি করার পরিকল্পনা ছিল ঘাতকদের। কিন্তু টাকা জোগাড় করতে না পারায় বড়াইগ্রাম উপজেলার গাড়ফা গ্রামের একটি আম বাগানে বসে গাঁজা সেবন করতেছিল তারা। এ সময় সেখানে আম কুড়াতে
যায় সাত বছর বয়সী শিশু জুঁই। তারপর তারা শিশুটিকে ধরে নিয়ে যায় পাশের কলা বাগানে। সেখানে পালাক্রমে ধর্ষণের পর শিশুটিকে হত্যা করে এবং পাশেই চাটমোহর উপজেলাধীন রামপুর গ্রামের একটি ভুট্টার জমিতে ফেলে রাখে।
আটকরা হলো – বড়াইগ্রাম উপজেলার গাড়ফা গ্রামের সুলতান হোসেনের ছেলে সোহেল রানা (২৫), আয়নাল হকের ছেলে শেখ সাদি (১৬), দুলাল হোসেনের ছেলে শাকিব (১৬), দিয়ার গাড়ফা গ্রামের শাহীন আলমের ছেলে সিয়াম (১৪) ও
চাটমোহর উপজেলার রামপুর গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে আবদুল্লাহ (১৬)।ঘাতকরা হত্যাকান্ড ও ধর্ষণের কথা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে। তাদের পাবনা আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।উল্লেখ্য গত ১৪ এপ্রিল বিকেলে দাদির কাছে যাবার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয় শিশু জুঁই। পরদিন ১৫ এপ্রিল বাড়ির পাশে চাটমোহরের একটি ভুট্টা ক্ষেত থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত শিশুর মা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে চাটমোহর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বড়াইগ্রাম প্রতিনিধিঃ রায়হান সরকার