গত সোমবার (১৪ এপ্রিল) কয়েকটি জাতীয় পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টালে “অফিস সহকারীর আলিশান বাড়ি, অঢেল সম্পদ” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন ভোলার চরফ্যাশন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা দপ্তরের অফিস সহকারী মো. আব্বাস উদ্দিন ফরাজী।
এক প্রতিবাদ লিপিতে তিনি বলেন, আমাকে জড়িয়ে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। যে বাড়িটি আমার বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে প্রকৃতপক্ষে সত্য হলো সে বাড়িটি আমার নয়। এই বাড়ির মালিকানা সত্ত্বে আমার নামে কোন দলিল বা মালিকানা দাবী করার মতো কাগজপত্র আমার নেই।
অফিস সহকারী আব্বাস উদ্দিন ফরাজী বলেন, আমার বাবা একজন মাধ্যমিক স্কুল শিক্ষক ছিলেন, আমরা ৬ ভাই ও ৪ বোন। বড় ভাই ঢাকার বিশিষ্ট্য ব্যবসায়ী, মেজো ভাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসন বিভাগে চাকুরী করেন, সেজো ভাই ঢাকার প্রথম শ্রেনীর ঠিকাদার, আমি ৪ নম্বর, ৫ নম্বার ভাই ঢাকার সিএমএম কোর্টে চাকুরী করেন, ৬ নম্বর ভাই ভোলা ডিসি অফিসে চাকুরী করেন, বড় বোন ও ভগ্নিপতি আমেরিকা প্রবাসী, ছোট বোন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
তিনি বলেন, আমার শশুর শাহে আলম ফরাজি কয়েক কোটি টাকার সম্পদ রেখে কিছুদিন পূর্বে মারা যান। আমরা এখোনো একান্নবর্তী সংসারে বসবাস করি। আমি ৩০ পারা কোরআনের হাফেজ। অতএব এমন সচ্ছল পরিবারের সন্তান হয়ে এবং পারিবারিক আদর্শ বিসর্জন দিয়ে অসহায় জেলেদের থেকে অবৈধ আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করা আমি প্রয়োজন মনে করি না।
মূলত একটি কুচক্রী মহল আমার এবং আমার পরিবারের সম্মান ক্ষুন্ন করতে সাংবাদিকদেরকে ভুল তথ্য দিয়ে এই মিথ্যা সংবাদটি প্রকাশ করেছে। আমি এই মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।