নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় বিএনপি’র দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০
জন আহত হয়েছেন। তারমধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় তিনজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালে (রামেকে) ভর্তি করা হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার কয়েন বাজার ও গ্রামীণ ব্যাংক এলাকায় এ সংঘর্ষ ঘটে।সংঘর্ষে আহতরা হলেন– উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহব্বায়ক মিজানুর রহমান (৩৫) ও তার বাবা মো. জিন্নাহ (৬০), নগর ইউনিয়ন শ্রমিক দল নেতা রুবেল (২৬), নগর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত আহব্বায়ক সাহানি হোসেন সুজন (৩০), শ্রমিক দলের প্রচার সম্পাদক মো.
সাইফুল ইসলাম (৪৫), বিএনপি নেতা আজগর আলী (৬৫), ছাত্রদল নেতা সোহেল (২৫), শুভ (২২) ও জুয়েল রানা (২০)।
অপরপক্ষের আহতরা হলেন– ছাত্রদল নেতা হৃদয় (২৫), উপজেলা কৃষক দলের আহব্বায়ক মো. সানা উল্লাহ
(৫৫), নাসিম (২৭), ডা. মো. সাইদুল ইসলাম (৫৫) ও মো. সাইফুল ইসলাম (৫২)। এদের মধ্যে হৃদয়, রুবেল ও জিন্নাহকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের উপজেলা হাসপাতাল ও অন্যান্য স্থানে ভর্তি করা হয়েছে। কাউকে প্রাথমিক
চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মিজানুর রহমান কয়েন বাজারে দলীয় কার্যালয় তৈরির জন্য একটি দোকান ভাড়া নেন। এতে বাধা দেন নগর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আতাউর রহমান ও তার সাথীরা। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে রোববার বিকেলে কয়েন বাজারে কথা
তর্ক-বিতর্ক হয় ও এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করতে থাকে। ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে সন্ধ্যার দিকে কয়েন গ্রামীণ ব্যাংক এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে লাঠিসোঁটা, ইট-পাথর নিয়ে দফায় দফায় ধাওয়া,পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এতে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হন।বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে
দ্রুত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এলাকায় পুলিশী টহল বাড়ানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় কেহই অভিযোগ করেননি।
বড়াইগ্রাম প্রতিনিধিঃ রায়হান সরকার