নিজস্ব প্রতিবেদক/
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মা নদীতে বন্যার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পানি বৃদ্ধর ফলে চরাঞ্চলের নীচু এলাকার ফসল প্লাবিত হয়েছে। দৌলতপুরে আগাম বন্যার কারনে কৃষকরা তাদের চাষকরা অপরিপক্ক ফসল কেটে নিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে পাটক্ষেত পানিতে তলিয়ে যাওয়ার আগেই তা কেটে নিচ্ছেন কৃষকরা।
অসময়ে অপরিপক্ক পাট কেটে নেওয়াতে কৃষকরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে বলে তারা জানিয়েছে। তবে আউশ ধান কাটার যোগ্য না হওয়ায় ধানচাষীরা চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছে। দৌলতপুর উপজেলার চিলমারী, রামকৃষ্ণপুর. ফিলিপনগর ও মরিচা ইউনিয়ন পদ্মা নদী তীরবর্তী ইউনিয়ন। এসব ইউনিয়নের চাষীরা কৃষি নির্ভর। তারা চরাঞ্চলে ফসল ফলিয়ে নিজেদের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি দেশের চাহিদাও পুরন করে থাকে।
বন্যা এদের জন্য প্রতিবছর আর্শিবাদ হয়ে দেখা দিলেও এবছর আগাম বন্যা হওয়ায় তা অভিসাফ হয়ে দেখা দিয়েছে। আন্যান্য বছর পাট ও আউশধানসহ বিভিন্ন ফসল কৃষকরা ঘরে তুলার পরপরই বন্যা দেখা দেয়। সেক্ষেত্রে তারা তেমন ক্ষতির সন্মুখীন হোন না। কিন্তু এবছর ধান ও পাটসহ অন্যান্য ফসল ঘরে তোলার আগেই বন্যার হানা। তাই দুশ্চিন্তা ও অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে ওইসকল ইউনিয়নের চরাঞ্চলের চাষীরা। চিলমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ আহমেদ জানান, পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পানি বৃদ্ধির ফলে তার ইউনিয়নের নীচু এলাকার ফসল পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। যারকারনে কৃষকরা অপরিপক্ক পাট কেটে নিয়ে তা পচন করছে। তবে পানিতে তলিয়ে যাওয়া আউশ ধানটা এবছর কৃষকরা ঘরে তুলতে পারবেনা।
রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিরাজ মন্ডল জানান, বন্যার পানি প্রতিদিনই বাড়ছে। পদ্মায় পানি বৃদ্ধির ফলে তার ইউনিয়নের চরাঞ্চলের নীচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ফলে নীচু এলাকায় চাষকরা ফসল কৃষকরা কেটে নিচ্ছে। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে প্রতিদিনই চরাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। তিনি জানান, শনিবার বিকেলে জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন মাষ্টারকে সাথে নিয়ে চরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেছি। তবে এখনও তেমন ক্ষতি লক্ষ্য করা যায়নি।
মরিচা ইউনিয়নের বৈরাগীর এলাকার সাইদুর রহমান নামে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মী জানান, পদ্মা নদীতে পানি বাড়ছে। পানি বাড়ার ফলে চরের নীচু এলাকার ফসল ডুবে গেছে। তবে কৃষকরা সেসব ফসল কেটে ঘরে তুলছে।
এভাবে বন্যার পানি বৃদ্ধ অব্যাহত থাকলে বন্যাকবলিত ৪টি ইউনিয়নের চরাঞ্চলের মানুষের ফসলের ক্ষতির পাশাপাশি জীবন যাত্রা দূর্বিসহ হয়ে পড়বে। এমনটাই মনে করছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।