নিজস্ব প্রতিবেদকঃনাটোরের লালপুর উপজেলায় পাওনা টাকা চাওয়ায় আব্দুস সালাম (৫২) নামে এক মুদি দোকানিকে হাসুয়ার আঘাতে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে উপজেলার কদিমচিলান ইউনিয়নের চৌষুডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খুন করার পর পালানোর সময় পাশের গুধড়া গ্রামের ওহিদুল ইসলাম (৩০) নামের এক যুবককে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে হত্যাকান্ডের অভিযুক্ত সাহেব আলী (২৭)। আহত ওহিদুল ইসলামকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত আব্দুস সালাম চৌষুডাঙ্গা গ্রামের ইয়াজ উদ্দিন শাহের ছেলে। এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে একই গ্রামের আব্দুুল মজিদের ছেলে অভিযুক্ত সাহেব আলীকে আটক করেছে পুলিশ।স্থানীয় ও পুলিশী সূত্রে জানা যায়, নিহত আব্দুস সালাম একজন মুদি দোকানি ও চা বিক্রেতা। দোকানটিতে দুইশ’ টাকা বাকি হয়ে যায় খরিদদার সাহেব আলীর। উক্ত টাকা চাওয়াতে দোকানটির সামনেই উভয়ের মধ্যে তর্কবিতর্ক এমনকি হাতাহাতি হয়ে যায় প্রায় এক বছর আগে। সেদিনই সাহেব আলী এক ছোট শিশুর মাথায় হাত রেখে শপথ নিয়েছিল যে সে আব্দুস সালামকে সুযোগ পেলে খুন করবেই। উক্ত দ্বন্দ্বের জেরে গভীর রাতে মুদির দোকানে আগুন লাগিয় দেয় সাহেব আলী। ওই দোকানেই ক্রয়বিক্রয়ের পর আব্দুস সালাম ঘুমিয়ে পড়ে সেদিন রাতে।
অগ্নি সংযোগের বিষয় টের পেয়ে সালাম দোকানের বাইরে আসলে হাসুয়া দ্বারা এলোপাতাড়ী কয়েকটি আঘাত
করে তাকে। ফলে সে ঘটনাস্থলেই মুত্যুবরণ করে। তবে সে উচ্চস্বরে আমাকে বাঁচাও, মেরে ফেললো বলে একবার চিৎকার দিয়েছিল বলে জানান নিহতের পিতা ইয়াজ উদ্দিন। ঘর থেকে বের হয়ে পিতা দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় গলা কাটা ছেলে ছটপট করছে। এদিকে অভিযুক্ত সাহেব আলী ঘটনাস্থল থেকে প্রায় এক কিলোমি. দুরে পাশের গুধড়া গ্রামে পৌছালে ওহিদুল ইসলাম নামের এক যুবকের সামনে পড়ে। তাকেও হাসুয়া দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে সে। ওহিদুলের চিৎকারে প্রতিবেশী মানুষ এগিয়ে এসে হাসুয়া সহ তাকে আটক করে। পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়। এবিষয়ে লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: নুরুজ্জামান বলেন, মরোদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য
নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে এবং হত্যা মামলার
প্রস্তুতি চলছে।
বড়াইগ্রাম প্রতিনিধিঃ রায়হান সরকার