নিজস্ব প্রতিবেদক/
নাটোরের লালপুরে পুকুরের পানি থেকে আবুল কালাম (৫০) ওরফে বোমা কালাম নামের এক জনের ক্ষতবিক্ষত লাশ শনিবার সকালে উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। নিহত কালামের স্ত্রী ও উপজেলার বিলমাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আরজিনা খাতুন (৩৫) ও তার আগের স্বামীর পক্ষের ছেলে আল আমিন সহ (১৮) তার পরিবারের লোকজন কালামকে হত্যা করে একটি পুকুরে ফেলে দেয়। নিহত আবুল কালাম উপজেলার উধনপাড়া গ্রামের মৃত ইনছার মন্ডলের ছেলে। প্রায় ১০ বছর ধরে সে বড়বাদকয়া গ্রমের আরজিনা খাতুনের বাবা জহিম উদ্দিনের বাড়িতে ঘরজামাই থাকতো।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বেশ কিছুদিন ধরে আরজিনা ও কালামের মধ্যে পরিবারিক কলহ চলছিলো। শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) রাত আটটার দিকে আরজিনা খাতুন তার আগের স্বামীর পক্ষের ছেলে আল আমিনসহ পরিবারের অন্যরা কালামকে লাঠি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে লাশ বাড়ি থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দুরে সাধুর আখড়া এলাকার একটি পুকুরে ফেলে আসে। খবর পেয়ে নিহত কালামের পরিবারের লোকজন রাতেই কালামকে খুজতে থাকে। তারা তাকে না পেয়ে লালপুর থানায় অভিযোগ করেন। পুলিশ রাতেই সন্দহজনক ভাবে আল আমিনকে আটক করে। পরে তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক শনিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে পুকুর থেকে কালামের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই সহিদুজ্জামান সালাম বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
লালপুর থানার ওসি মোনোয়ারুজ্জামান বলেন, ‘নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের শরীর ও মুখমণ্ডলে ধারালো অস্ত্র ও লাঠির আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।