নিজস্ব প্রতবিদেক/
নাটোরের লালপুর উপজেলার দুয়ারিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কর্মরত উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আবু সাঈদ মিয়ার বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের সাথে অসদাচরণ, নিয়ম বহির্ভূতভাবে অতিরিক্ত অর্থ আদায় সহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে এলাকার রাজনৈতিক নেতা, একাধিক প্রধান শিক্ষক, কৃষক, শ্রমজীবি সহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার প্রায় দুই শত মানুষ লিখিত ভাবে নাটোর জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেও কোন লাভ হয়নি বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগিরা।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা শরিফুল ইসলাম জানান, আমার একটি জমির নাম খারিজ নিয়ে উপ-সহকারী আবু সাঈদ মিয়া আমাকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করেন।
মহেশ^র গ্রামের মান্নান শেখের পুত্র সাইদুর শেখ জানান, উপ-সহকারী আবু সাঈদ মিয়া তার জমির খাজনা বাবদ ১৫ হাজার টাকা নিয়ে মাত্র ৯শ টাকার রশিদ দিয়েছেন। সাতপুকুরিয়া গ্রামের ফজল কবিরাজ, জামাল কাজি, কলসনগর গ্রামের আক্কাস সরকার সহ অনেকেই ওই ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ করেন।
গত ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে কলসনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহম্মদ আলী জিন্নাহ, আবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফজলুর রহমান, ইউপি সদস্য রানা সরদার, আওয়ামী লীগ নেতা শরিফুল ইসলাম সহ ১৮৮ জন স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগপত্র নাটোর জেলা প্রশাসক বরাবর প্রদান করা হয়। তারা নানা অনিয়ম দুর্নীতির কথা উল্লেখ করে ওই কর্মকর্তার বদলী সহ দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবী করেন।
অভিযোগের ৪ মাস অতিবাহিত হলেও উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আবু সাঈদ মিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ায় তিনি সাধারণ মানুষকে ঠকিয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায় সহ সকল অপকর্ম অব্যাহত রেখেছেন দাবী করেন অভিযোগকারীরা।
নাটোর-২ আসেনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল বলেন, ঘটনা সত্য, বিষটি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে।
এব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেবাশিষ বসাক বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠোনো হয়েছে। সেখান থেকে পরবর্তি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আবু সাঈদ মিয়া তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।