রাজধানীর গ্রিনরোডের ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির পাশের গলি থেকে এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গলায় দড়ি দিয়ে ওই নারীর লাশ টেনে নেয়ার একটি ছবি ছড়িয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, গ্রিনরোডে ফেলে যাওয়া লাশ শেরপুরের আমেনা বেগম। গ্রেপ্তার করা হয়েছে সন্দেভাজন হত্যাকারীকেও।
এদিকে রহস্য তৈরি হয়েছে হত্যার কারণ নিয়ে। একইসঙ্গে শেরপুরের আমেনা বেগম কেনো গ্রিনরোডে এলো তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা।
হত্যার পর রাতের অন্ধকারে লাশ ফেলে দেয়া হয় গ্রিনরোডের রাস্তায়। পরে একটি দোকানের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, পাশের ভবনের নিরাপত্তারক্ষী লাশের গলায় দড়ি বেঁধে টেনে এনে ফেলে দিয়ে যাচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, নিহত নারীকে আগে কখনো এই এলাকায় দেখেননি তারা।
পুলিশ জানায়, নিহত নারীর নাম আমেনা বেগম। তার গ্রামের বাড়ি শেরপুর। তিনি গ্রিনরোডের খান মঞ্জিলের ১৫২/১৩ বাসায় কেনো এসেছিলেন, কেনোই বা তাকে হত্যা করা হলো এ নিয়ে কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়।
পুলিশ জানায়, হত্যাকারী সন্দেহে আটক করা হয়েছে নিরাপত্তারক্ষীকে। হত্যার সম্পৃক্ততার কথাও স্বীকারও করেছে সে।
কলাবাগান থানার ওসি পরিতোষ বলেন, হত্যাকাণ্ডের যেসব কাগজপত্র সেগুলো তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত সুষ্ঠু কিছু বলা যাচ্ছে না।
এর আগে শুক্রবার (১০ জুলাই) সকাল ৮ টার দিকে রাজধানীর গ্রিনরোডের ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির পাশের গলি থেকে আমেনা বেগমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ পাঠানো হয়েছে ঢাকা মেডিকেলের মর্গে।