নাটোরের লালপুর উপজেলার নান্দ খালে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে মারামারিতে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে মিথ্যা মামলায় নান্দ খালে বাঁধ দিয়ে পানি চলাচল বন্ধ ও পরে অভিযোগের ভিত্তিতে তা অপসারনের মিথ্যা, বানোয়াট কল্পকাহিনীর প্রতিবাদ করেছেন খাল রক্ষনাবেক্ষণ কমিটি।
নান্দ খালে বাঁধ দিয়ে পানি চলাচল বন্ধ ও ১০ জানুয়ারী পুলিশের নির্দেশে মাটি অপসারণ করা হয়েছে এবং এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১৫ জানুয়ারী নান্দ গ্রামের মৃত আলিমুদ্দিনের ছেলে আবু বক্কারকে রড, হাতুড়ী সহ আন্যান্য অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে আহত করা হয়েছে মর্মে থানায় মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দায়ের করা হয় (যার নং জি আর ১৬/২২ লালপুর)। সেখানে নান্দ গ্রামের আনেক শিক্ষত তরুণদের আসামী করে হয়রানী করা হচ্ছে। এদের মধ্যে অনেকেই বিভিন্ন পর্যায়ের পরীক্ষার্থী। ১৫ জানুয়ারীর প্রকৃত ঘটনা হলো নান্দ খালে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে মামলার বাদী আজিজুর রহমানের ছোট ভাই আবু বক্কারের সাথে মামুন ও পিয়াসের মাছধরা সিলভারের তৈরী হাঁড়ি ও গামলা দিয়ে মারামারা মারি হয়। এতে উভয় পক্ষই সামান্য আহত হয়। সেখানে লোহার রড, হাতুড়ী বা অন্য কোন অস্ত্রে ব্যবহার হয়নি। ঘটনাটি পরিকল্পিতও নয়। মামলায় যাদের স্বাক্ষী করা হয়েছে তাদের কেউই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নয়। ১ নং স্বাক্ষী সাইফুল ইসলাম এর কাজই হলো নিজে স্বাক্ষী হয়ে বিভিন্ন জনকে দিয়ে মামলা করানো এবং সে মামলায় তদবির করার নামে সুবিধা নেওয়া। ২ নং স্বাক্ষী আব্দুল করিম তার আপন ভাতিজা। ৩ নং স্বাক্ষী সিদ্দিক আলী জানান, তিনি মারামারির ঘটনা এবং মামলা দায়ের সম্পর্কে কিছুই জানেন না।
আমরা উক্ত মিথ্যা বানোয়াট ও পরিকল্পিত মামলার তিব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। সেই সাথে নান্দ খালকে জড়িয়ে ভবিষ্যতে কেউ যেন কোন রকম উদ্দেশ্য হাসিলের চেষ্টা না করতে পারে সেজন্য সকলকে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
নান্দ খাল রক্ষনাবেক্ষণ কমিটির পক্ষে –
মো: আতিয়ার রহমান, সহ-সভাপতি ও মো: মাসুদ রানা, কোষাধ্যক্ষ, নান্দ খাল রক্ষনাবেক্ষণ কমিটি, ওয়ালিয়া, লালপুর, নাটোর।