বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি/
বড়াইগ্রামের মহানন্দগাছা গ্রামে মসজিদের পুকুর নিয়ে গ্রামবাসীর মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এতে যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, মহানন্দগাছা জামে মসজিদের নামে প্রায় ৬০ শতক জলকরের একটি পুকুর রয়েছে। পুকুরটি একই গ্রামের শহিদুল ইসলাম ১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকায় লিজ নিয়ে গত দুই বছর যাবৎ মাছ চাষ করে আসছেন। এ সময়ে পুকুরের পূর্ব পাড় ভেঙ্গে মানিক সহ কয়েক জনের প্রায় ৮-৯ শতক জমি পুকুরের মধ্যে ঢুকে পড়েছে। মানিক হোসেনের টয়লেট ও গোসলখানা যে কোন সময় ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়েছে। এসব কারণে পুকুরের নির্ধারিত সীমানায় পাড় বেঁেধ মাছ চাষের দাবী জানান ক্ষতিগ্রস্থরা। কিন্তু মসজিদ কমিটি পাড় বেঁধে না দেয়ায় বর্তমান ভাঙ্গন অব্যাহত আছে। এদিকে, ক্ষতিগ্রস্তরা পুকুরের আগাছা কচুরীপানা পরিষ্কার করতে না দেয়ায় মাছ মরে যাচ্ছে মর্মে দাবী করে লিজ গ্রহিতা শহিদুল ইসলাম গত রোববার ক্ষতিগ্রস্থদের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। একদিকে মসজিদ কমিটি গড়িমসি করে পুকুরের পাড় বেঁধে না দেয়া, অপরদিকে, থানায় অভিযোগ দিয়ে ক্ষতিগ্রস্থদেরকে হয়রানী করা, এসব নিয়ে গ্রামবাসীর মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
ক্ষতিগ্রস্থ মানিক হোসেন বলেন, ইতোমধ্যেই আমার বাড়ির ভিটার প্রায় ১০-১১ ফুট ভেঙ্গে পুকুরের মধ্যে চলে গেছে। এভাবে ভাঙ্গতে থাকলে আমার ভিটা বাঁচানোই কঠিন হয়ে পড়বে। তাই পাড় ঠিক না করা পর্যন্ত মাছ চাষ বন্ধ রাখতে বলায় থানায় লিখিত অভিযোগ করে আমাদেরকে হয়রানি করছে শহিদুল ইসলাম।
লিজ গ্রহিতা শহিদুল ইসলাম বলেন, কচুরীপানা অপসারণ করতে বাধা দেয়ার কারণেই মাছ মরে গেছে। এ কারণে আমি থানায় অভিযোগ করেছি। মসজিদ কমিটির সভাপতি আজিজুল ইসলাম বলেন, পুকুরের পাড় বেঁধে দেয়ার জন্য চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু পারিনি। সামনে পানি শুকালে বেঁধে দেবো।
বড়াইগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক আবুল কালাম আযাদ বলেন, অভিযোগ পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।