নিজস্ব প্রতিবেদক/
পটুয়াখালীর বাউফলে প্রেমের সম্পর্কের ঘটনায় সালিশ বৈঠকে কিশোরীকে বিয়ে করায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহিন হাওলাদারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এর আগে সেই কিশোরী শাহিন হাওলাদারকে তালাক দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলাও হয়েছে।
সোমবার রাতে স্থানীয় সরকার বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তাকে সাময়িক বরখাস্ত’র তথ্য জানানো হয়। শাহিন হাওলাদার উপজেলার ৬ নম্বর কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার ৬ নম্বর কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহিন হাওলাদার সালিশ করতে গিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অপ্রাপ্ত বয়স্ক (১৪ বছর ২ মাস ১৪ দিন) কিশোরীকে বিয়ে করেন। এ ঘটনায় তিনি স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর ৩৪ (৪) (ঘ) ধারার অপরাধ সংঘটিত করায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কেন তাকে চূড়ান্তভাবে অপসারণ করা হবে না তা পত্র প্রাপ্তির ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তার জবাব সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগে প্রেরণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ওই কিশোরী গত বৃহস্পতিবার প্রেমের টানে এক কিশোরের সঙ্গে বাড়ি ছাড়লে তার বাবার নালিশ পেয়ে চেয়ারম্যান শাহিন শুক্রবার সালিশ ডাকেন। সেই সালিশে বসার পর মেয়েটিকে পছন্দ হয়ে যায় ৬০ বছর বয়সী চেয়ারম্যানের। তখন তিনি ওই কিশোরীকে পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করেন।
এদিকে সোমবার (২৮ জুন) দুপুরে এ ঘটনায় ভিকটিম তরুণের বড় ভাই আল ইমরান বাদী হয়ে চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামি করে পটুয়াখালী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আমলি আদালতে মামলা করেন। চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বাদীর পরিবারের লোকজনকে মারধর এবং তার ছোট ভাইয়ের সঙ্গে ওই কিশোরীর পুনরায় বাল্য বিয়ে দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে মামলায়।
আদালত আগামী ৩০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলো– কনকদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শাহীন হাওলাদার(৬০), মো. শাহাবুদ্দিন হাওলাদার, পলাশ হাওলাদার, সুজন হাওলাদার, মো. নুরুল আমিন বাবু, আবু সাদেক ও কনকদিয়া ইউনিয়নের কাজী মো. আইয়ূব।