নিজস্ব প্রতিবেদক/
নাটোরের লালপুর উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামকে লাঞ্ছিত ও চাঁদা দাবীর অভিযোগে গোপালপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (এমপি গ্রুপের) রোকনুজ্জামান লুলু ও তার সহযোগী রাসেল ও আবুল কালামের বিরুদ্ধে বাগাতিপাড়া থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় শুক্রবার ভোরে রাসেল (৩৫) ও আবুল কালাম (৩৪) নামের ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ । আটককৃত রাসেল নেঙ্গপাড়া গ্রামের হাসান আলীর ছেলে ও আবুল কালাম বিজয়পুর গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ ও এজাহার সূত্রে জানাযায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনের সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুলের বাগাতিপাড়া উপজেলার স্যানালপাড়াস্থ বাড়িতে তার সাথে দেখা করতে যান। সেখানে সংসদ সদস্য তার অফিসে রফিকুল ইসলামের সাথে কথা শেষ করে চলে গেলে গোপালপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক (এমপি সমর্থক গ্রুপ) রোকনুজ্জামান লুলু ও তার সহযোগী রাসেল ও আবুল কালাম তাকে সেখানে প্রায় চার ঘন্টা আটক রেখে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। এক পর্যায়ে তাকে মারধর ধর করে ছেড়ে দেয়। পরে লালপুরে ফেরার পথে বাগাতিপাড়া উপজেলার স্যানালপাড়া গ্রামের পাকা রাস্তার মোড়ে মসজিদের সামনে এসে পুনরায় পথ রোধ করে তারা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামের পেটে পিস্তল ঠেকিয়ে ভয় দেখায় এবং সাদা কাগজে লিখে নেয় রাসেলের কাছ থেকে তিনি ৮ লক্ষ টাকা ধার নিয়েছিলো এবং তা আজকের মধ্যে পরিশোধ করবেন।
এঘটনায় লালপুর উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম রাতেই বাগাতিপাড়া থানায় রোকনুজ্জামান লুলু ও তার সহযোগী রাসেল ও আবুল কালামকে আসামী করে এজাহার দায়ের করেন।
অভিযোগ পেয়ে শুক্রবার ভোরে নাটোরের গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল রাসেল ও আবুল কালামকে আটক করে নিয়ে যায়। ওসি ডিবি শফিকুল ইসলাম দুই জনকে আটক করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল জানান, তার বাসায় বা বৈঠক খানায় কাউকে মারপিট বা আটক রাখার কোন ঘটনায় ঘটেনি। ঘটনাটি সাজানো বলে মনে হয়। লালপুর উপজেলা গুদাম খাদ্য কর্মকর্তা নিজেই তার প্রয়োজনে আমার কাছে এসেছিলেন। তার সাথে ১০/১৫ মিনিট কথা হয়েছে।