নিজস্ব প্রতিবেদক/
নাটোরের লালপুরে প্রতারক শিলা বেগম ও তার সংঘবদ্ধ চক্রের হাতে নিঃশ্ব হয়ে প্রশাসনের সু-দৃষ্টি চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে সুরুজ আলী নামে এক দিনমজুর। সে উপজেলার ওয়ালিয়া ইউনিয়নের ওয়ালিয়া পশ্চিম কারিগরপাড়া গ্রামের আমজাদ আলীর ছেলে।
বৃহস্পতিবার সকালে ওয়ালিয়া বাজারের একটি কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করে বলেন- তার ১ম স্ত্রী জুলেখা বেগম ২টি শিশু সন্তান রেখে দূরারোগ্যে মৃত্যুবরণ করেন। এরপর উপজেলার কাবিলমোড় এলাকার বাবলু আলীর মেয়ে মোছা: শিলা বেগমের (২৭) সাথে তার বিয়ে হয়। কিন্তু শিলা বেগম অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিতে আমার সাথে বিবাহ করেছে এটা আমার জানা ছিলোনা। তার অতীত কর্মকান্ড ও বিভিন্ন মারফতে জানতে পেরেছি ছলনা করে টাকা হাতিয়ে নেওয়াই তার প্রধান পেশা। আর তার এ কাজে প্রধান সহযোগী তার মা ও ভাই সহ পরিবারের অন্য সদস্যরা। সে এভাবেই অনেক পুরুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। আমাকে বিয়ের পরেও কয়েক ধাপে টাকা পয়সা হাতিয়ে নিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতাই গত ১২ই মার্চ শুক্রবার জুম্মার নামাজের সময় সে আমার বাড়ী থেকে নগদ ৭০,০০০/- (সত্তর হাজার) টাকা নিয়ে কাউকে কিছু না বলে বাবার বাড়ী চলে যায়। আমি এ বিষয়ে ওয়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করি। ইউপি চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান আমাকে আইনের আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দেন। কারন এই সংক্রান্ত বিষয়ে অত্র ইউনিয়ন পরিষদে ২ বার শালিশ হয়েছে। চেয়ানম্যান সাহেবের পরামর্শে আমি গত ১৫ দিন পূর্বে লালপুর থানায় একটি অভিযোগ করি। উল্লেখ্য যে, শিলা বেগম ইতিপূর্বেও ২বার একইভাবে ভাবে পালিয়ে বাবার বাড়ী চলে যায়। এ সংক্রান্ত ব্যপারে উভয় পক্ষের মধ্যে আদালতে মামলা হয়েছিল। আমার ২য় স্ত্রীর তার নিজ এলাকায় এইরকম ছলনা করে টাকা আত্মসাৎ করার বেশ কয়টি অভিযোগ আছে যা আমি বিয়ের পরে জানতে পেরেছি। শুধু তাই নয়, আমার সাথে কয়েকবার এই ঘটনায় আমি তার প্রমানও পেয়েছি। তার সমস্ত কু-কর্মের সমর্থনকারী তার মা ।
তিনি আরও বলেন- শিলা বেগমের অসৎ উদ্দেশ্য উভয় এলাকার জনপ্রতিধিগন অবগত আছেন। আমি আমার ২টি শিশু সন্তানের কথা চিন্তা করে আপোষ মিমাংশায় আদালতের মামলা নিষ্পত্তির মাধ্যমে আমার স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনি। কিন্তু বার বার একই ঘটনায় আমি নিরুপায় হয়ে পড়েছি। তার পরেও আমার সন্তানদের কথা চিন্তা করে আমার টাকা সহ স্ত্রী কে ফিরে আসতে বললে আমার শ্যালক সোহাগ (২১) আমাকে ফোন করে বলেন- আমার বোন কে পাঠাবো না, তোর যা ইচ্ছা করতে পারিস, এছাড়া সে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিচ্ছে যা থানায় অভিযোগের মধ্যে উল্লেখ আছে। আমি এবং পরিবারের লোকজন বর্তমানে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ এবং নিরাপত্তাবাহীনায় আছি।
আমি গরিব অহসায় একজন দৃষ্টি প্রতিবন্ধি মানুষ। সে প্রত্যেকবার পালিয়ে যাওয়ার সময় আমার ঘর থেকে নগদ অর্থ সহ বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়ায় আমি আজ নিঃস্ব^। আমি প্রশাসনের কাছে এই প্রতারক চক্রের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
এসময় তার ২ শিশু সন্তান, পরিবারের লোকজন এবং বিভিন্ন প্রিন্ট এবং ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।