নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে কঠিন লড়াইয়ের মুখে ফেলতে মরিয়া প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বিডেন। সেই লক্ষ্যেই এবার দেশের মসনদ দখলে আমেরিকায় কর্মরত ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের মন পাওয়ার কৌশল নিলেন তিনি। বিডেন সাফ জানিয়েছেন, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করাই হবে তাঁর প্রশাসনের অন্যতম লক্ষ্য। তাই ট্রাম্প যে এইচ-১বি ভিসা গোটা বছরের জন্য স্থগিত করে দিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট পদে বসেই তিনি ওই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নেবেন। টাউন হলে এনবিসি নিউজ আয়োজিত এক অনলাইন বৈঠকে যোগ দিয়ে বিডেন বলেন, ‘ট্রাম্প চলতি বছরের জন্য এইচ-১বি ভিসা বন্ধ করে দিয়েছে। আমার প্রশাসনে এরকম হবে না। কোম্পানি ভিসায় যাঁরা এই দেশে রয়েছেন, তাঁরাই এই দেশকে গড়ছেন।’ ক্ষমতায় এলে প্রথম ১০০ দিনের মধ্যে এইচ-১বি ভিসা ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ৭৭ বছরের বিডেন। যা ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীদের কাছে বড় পাওনা হবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
আগামী ৩ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে মার্কিন মুলুকে। করোনার প্রকোপে দেশের টালমাটাল অর্থনীতি এবং ঊর্ধ্বমুখী বেকারত্বের আবহে ভোটে জিতে ক্ষমতা ধরে রাখাটা ট্রাম্পের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। আর এই সুযোগকে হাতছাড়া করতে রাজি নন প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট বিডেন। তাই টাউন হলের অনুষ্ঠানে দেশের বর্তমান অভিবাসন নীতিকে অমানবিক এবং নির্মম আখ্যা দিয়ে ট্রাম্পকে কাঠগড়ায় তোলেন তিনি। বিডেন বলেন, ‘আমার অভিবাসন নীতিতে কোনও পরিবারকে ভাঙা হবে না। বরং গোটা পরিবার যাতে একসঙ্গে থাকতে পারে, তা নিশ্চিত করা হবে। যেমনটা আগে ছিল। দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়ার এক লক্ষের বেশি যোগ্য কর্মীর স্বপ্ন পূরণ হবে।’ অযোগ্য কর্মীদের ‘হাই স্কিলড টেম্পোরারি ভিসা’ দেওয়া ঠিক নয় বলেও মন্তব্য করেছেন বিডেন। পাশাপাশি, মুসলিমদের মার্কিন সফরের উপর জারি থাকা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে বলেও জানিয়েছেন এই ডেমোক্র্যাট প্রার্থী।
উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে গত ২৩ জুন ট্রাম্প ঘোষণা করেন, চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত এইচ-১বি ভিসা সহ চার ধরনের ভিসা দেওয়া হবে না। তার আগে গত এপ্রিল মাসে এগজিকিউটিভ অর্ডার জারি করে তিন মাসের জন্য নতুন গ্রিনকার্ড দেওয়ার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেন ট্রাম্প। পরে তা বাড়িয়ে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়। খবর- সংবাদ সংস্থার