অনলাইন ডেস্ক: লাদাখে চীন-ভারত সীমান্ত সংঘাতের মধ্যেই সেনাবাহিনীর বহর বাড়াতে ১২টি সুখোই আর ২১টি মিগ কেনায় অনুমোদন দিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। সম্প্রতি রাশিয়ায় গিয়ে প্রতিরক্ষা সচিব অজয় কুমার এবং রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বৈঠকে সমঝোতা চূড়ান্ত হয়। বৃহস্পতিবার তারই আনুষ্ঠানিক ক্রয়প্রস্তাবে সিলমোহর দিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। এছাড়াও একগুচ্ছ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম কেনা হচ্ছে। সেইসঙ্গে ৫৯টি মিগ-২৯কে নতুন প্রযুক্তিতে উন্নীত করা হবে। সবমিলিয়ে খরচ পড়বে ৩৮ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বাধীন ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিলের (ডিএসি) বৈঠকে এই সমরাস্ত্র কেনার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই বিপুল পরিমাণ সামরিক সরঞ্জাম কিনতে বর্তমান পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। রাশিয়ার থেকে ২১টি মিগ-২৯ ক্রয় এবং ভারতের হাতে থাকা ৫৯টিকে নতুন প্রযুক্তিতে উন্নীত করতে খরচ হবে ৭ হাজার ৪১৮ কোটি টাকা। আর রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ‘হ্যাল’ থেকে ১২টি সুখোই যুদ্ধবিমান কিনতে সরকারের ব্যয় হবে ১০ হাজার ৭৩০ কোটি টাকা। এছাড়া যে কোনও আবহাওয়ায় শত্রুপক্ষের সুপারসনিক এয়ারক্রাফটকে ধ্বংস করতে সক্ষম ২৪৮টি ‘অস্ত্র’ মিসাইল কেনা হচ্ছে। সেইসঙ্গে এক হাজার কিলোমিটার দূরত্বের লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁতভাবে আঘাত হানতে সক্ষম পিনাকা মিসাইল সিস্টেমও কিনছে ভারত।
এই সমরাস্ত্র কেনার ক্ষেত্রেও আত্মনির্ভরতার কথা মাথায় রেখেছে মোদি সরকার। তাই ৩৮ হাজার ৯০০ কোটি টাকার মধ্যে ৩১ হাজার ১৩০ কোটি টাকা মূল্যের সরঞ্জাম শুধুমাত্র দেশীয় সংস্থার থেকে কেনা হবে। ভারতের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির সহযোগিতায় যাবতীয় সরঞ্জাম দেশেই তৈরি করা হবে। খবর- ভারতীয় সংবাদপত্রের