লালপুর (নাটোর) সংবাদদাতা
দলীয় গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে নাটোরের লালপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন করার অভিযোগে নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনের সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল সহ ৬ আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আফতাব হোসেন ঝুলফু। দায়ের করা মামলা প্রেক্ষিতে সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল সহ ওই ৬ আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে আদালত। একই কারণে নতুন করে গঠনতন্ত্র বিরোধী সম্মেলন আয়োজনে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞাও জারী করেছে আদালত।
নির্দেশের কপি পাওয়ার ৭ দিনের মধ্যে বাদীদের ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। মামলার অপর বিবাদীরা হলেন- লালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি এসকেন্দার মির্জা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম কাওছার, মাহমুদুল হক মুকুল, আলাউদ্দীন আলাল ও সাংগঠনিক সম্পাদক খায়রুল বাশার ভাদু।
বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক প্রসাদ কুমার তালুকদার এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ‘গত ২২ ফেব্রুয়ারী সোমবার লালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আফতাব হোসেন ঝুলফু ও সম্পাদক বাদি হয়ে লালপুর সহকারি জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। এর প্রেক্ষিতে গতকাল মঙ্গলবার আদালতের বিচারক মাহাবুব আলম এ নির্দেশনা দেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, বিবাদীরা গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে ওয়ালিয়া, ঈশ্বরদী, কদিমচিলান ও এবি (অর্জুনপুর-বরমহাটি) ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন সম্পন্ন করেছেন।
নিষেধাজ্ঞায় আদালত জানায়, আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের ৩০ ধারা মোতাবেক ইউনিয়ন কমিটি উপজেলা কমিটির তত্বাবধানে গঠন করার নির্দেশনা রয়েছে। কিন্ত উপজেলা কমিটির তত্বাবধান ছাড়া বিবাদীগণ ইউনিয়ন কমিটি গঠন করছেন। এক্ষেত্রে বাদী পক্ষের আনীত অভিযোগ যুক্তিযুক্ত। তাই নতুন করে গঠনতন্ত্র বিরোধী সম্মেলন আয়োজনে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারী করা হচ্ছে। নির্দেশের কপি পাওয়ার ৭ দিনের মধ্যে বিবাদীদের ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
মামলার বাদী আফতাব হোসেন ঝুলফু বলেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন ও নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির প্রেরিত চিঠি মোতাবেক মেয়াদ উত্তীর্ন লালপুর উপজেলার সকাল ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও পৌর কমিটির সম্মেলন সম্পন্ন করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ।প্রতিটি সম্মেলনে এমপি কে প্রধান অতিথি রাখা হলেও তিনি সম্মেলনে যোগদান না করে নিজের বলয় সৃষ্টির লক্ষে একজন সংসদ সদস্য হয়েও তিনি একের পর এক আইন লঙ্ঘন ও গঠনতন্ত্র পরিপন্ত্রী কমিটি করে চলেছেন। আমরা পুরো বিষয়টি দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ও সাধারণ সম্পাদক কে অবহিত করার উদ্যোগ নেয়া নিয়েছি। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগকে জানানো নিয়েছি। দলীয় সৃঙ্খলা বজায় রাখতে আমরা আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি।’