নিজস্ব প্রতিবেদক/
প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদিত ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়া কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় নাটোরের বড়াইগ্রামের বনপাড়া পৌরসভাসংলগ্ন হারোয়া ভবানীপুর এলাকায় স্থাপনের দাবিতে প্রায় তিন কিলোমিটার সড়কজুড়ে দীর্ঘ মানববন্ধন করা হয়েছে।
রোববার রাজনীতিবিদ, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার মানুষ নাটোর-পাবনা মহাসড়কের বনপাড়া ফায়ার সার্ভিস থেকে বনপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার মহাসড়কের দুই পাশে দাঁড়িয়ে এ মানববন্ধনে অংশ নেন।
এ সময় বনপাড়া বাজারের প্রায় সহস্রাধিক ব্যবসায়ী দোকানপাট বন্ধ রেখে মানববন্ধনে অংশ নিয়ে এ দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন।
মানববন্ধনকালে বনপাড়া পৌর মেয়র কেএম জাকির হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা সম্পাদক অধ্যক্ষ আবদুর রাজ্জাক মোল্লা, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুল কুদ্দুস মিয়াজী, সম্পাদক মিজানুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন বাবলু, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা ও সুরাইয়া আক্তার কলি, ইউপি চেয়ারম্যান নীলুফার ইয়াসমিন ডালু, আনিসুর রহমান, তোজাম্মেল হক, মমিন আলী ও আব্দুস সালাম খান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ওয়াসেক আলী সোনার, প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আবু শামা, বণিক সমিতির সাবেক সভাপতি ধীরেন্দ্রনাথ সাহা, ওয়ার্ড কাউন্সিলর শরীফুন্নেসা শিরিন, নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর চেয়ারম্যান কেএম জামিল হোসেন বক্তব্য রাখেন।
এ সময় বক্তারা নাটোরে ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়া কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের অনুমোদন দেয়ায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, বনপাড়া পৌরসভাসংলগ্ন হারোয়া-বাহিমালি-ভবানীপুর এলাকায় ২২ একর খাস জমিসহ নর্থবেঙ্গল সুগার মিলের ৭০১ একর ইক্ষু খামার রয়েছে। পাশেই রয়েছে হেলিপ্যাড।
অন্য পাশে রয়েছে কাদিরাবাদ সেনানিবাস, ঈশ্বরদী ইপিজেড, রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্র, ঈশ্বরদী ইক্ষু ও কৃষি গবেষণা কেন্দ্র।
সহজে জমিপ্রাপ্তির সুবিধা, চমৎকার ভৌগোলিক অবস্থান ও উন্নত যোগাযোগব্যবস্থার কারণে এখানে এ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন সবদিক থেকে সময়োপযোগী ও সঠিক সিদ্ধান্ত হবে। তাই প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর কাছে বক্তারা এখানেই বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপনের জোর দাবি জানান।