ডেস্ক : নিখোঁজের একদিন পর কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে নিজ বাড়ির বসতঘরের পাশে মাটিচাপা দেয়া অবস্থায় এক শিশু সন্তানসহ দম্পতির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের জামষাইট এলাকায় এক বাঁশঝাড় থেকে গলাকাটা অবস্থায় মরদেহগুলো উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন- জামষাইট গ্রামের মৃত মীর হোসেন খানের ছেলে আসাদ মিয়া (৫৫), তার স্ত্রী পারভিন আক্তার (৪২) ও তাদের শিশুপুত্র লিয়ন (৭)।
পারিবারিক বিরোধের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ। পরে নিহত আসাদের ভাই, দুই বোন ও এক বোনের স্বামীকে আটক করা হয়।
কটিয়াদী থানার ওসি এম এ জলিল সাংবাদিকদের জানান, ‘বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন আসাদ ও তার স্ত্রী-সন্তান। তাদের দুই ছেলে মোফাজ্জল ও তোফাজ্জল আজ ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরে বাবা-মা ও ছোট ভাইকে পাচ্ছিলেন না। ঘরের ভেতর রক্ত দেখতে পেয়ে তারা আশপাশের লোকজনকে জানান। বিকেলে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে কী কারণে এ হত্যাকাণ্ড তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।’
নিহত আসাদের ছেলে মোফাজ্জল হোসেন জানান, ‘আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে তিনি নানাবাড়ি থেকে বাড়ি ফিরে দেখেন ঘরে তার মা-বাবা এবং ভাই নেই। কিন্তু ঘরের মেঝেতে রক্তের দাগ রয়েছে। এ ঘটনা আশপাশের লোকজনকে জানান তিনি।’
পরে গ্রামবাসী পুলিশে খবর দিলে পুলিশ বসতঘরের পাশে মাটিচাপা দেয়া অবস্থায় তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে। ঘটনার পরপরই পুলিশ, সিআইডি ও পিবিআইএয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ জানান, ‘প্রাথমিকভাবে পারিবারিক বিরোধের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে জানা গেছে। পরে নিহত আসাদের মা, ভাই দীন ইসলাম, দুই বোন নাজমা ও তাসলিমা এবং তাসলিমার স্বামী ফজলু মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।’