পদ্মাপ্রবাহ ডেস্ক/
গোটা দিন তাকে দেখে কিচ্ছুটি বোঝা যায়নি। পাড়ায় দিনভর আড্ডা মারা মানুষটি যে সকালেই স্ত্রী ও মেয়েকে নৃশংস ভাবে খুন করেছে সেটা জানা যায় রাতে। শুধু খুন করাই নয়, টুকরো টুকরো করে দু’টি দেহ। রাতে প্রমাণ লোপাট করার সময়েই ধরা পড়ে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম চিন্দালাল সাকেত।
এই ঘটনা মধ্যপ্রদেশের রেওয়া জেলার। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার নিজের স্ত্রী ও এক বছরের মেয়েকে খুন করে সাকেত। বাড়িতেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে দেহ দু’টি ২২ টুকরো করে। এর পরে ঘরদোর পরিষ্কার করে যেন কিছুই হয়নি ভাব দেখিয়ে আড্ডা মারতে বের হয়ে যায়। সারাদিন গ্রামের চেনাশোনাদের সঙ্গে স্বাভাবিক ভাবে গল্পগুজব করে কাটিয়ে দেয়। রাতে শুরু করে টুকরো করা স্ত্রী ও মেয়ের দেহ সরানোর কাজ। একটি কাপড়ে বেঁধেই রাখা ছিল। সেটি নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। ততক্ষণে পচনের গন্ধ বের হতে শুরু করেছে। সন্দেহ হতেই গ্রামের কয়েক জন আটকায় সাকেতকে। পুঁটুলি খুলতেই দেখা যায় খণ্ড খণ্ড দেহ। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। আপাতত জেল হেফাজতে সাকেত।
রেওয়া জেলার পুলিশ সুপার রাকেশ সিংহ জানিয়েছেন, স্ত্রীর সঙ্গে অন্য কারও সম্পর্ক রয়েছে সন্দেহেই খুন করেছে সাকেত। ইনি তার দ্বিতীয় স্ত্রী। প্রথম স্ত্রী বছর আটেক আগে মারা যান। এর পরে নিজের ভাইয়ের মৃত্যুর পরে বিধবা ভ্রাতৃবধূকে সে বিয়ে করে। (আনন্দবাজার পত্রিকা)