পদ্মাপ্রবাহ ডেস্ক: শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন, রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলো স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হয়নি। মূলত সাময়িক উৎপাদন বন্ধ করা হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব মিলগুলোকে উৎপাদনে ফিরিয়ে আনা হবে। কারো উস্কানিতে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য শ্রমিকদের প্রতি তিনি আহবান জানান।
আজ সোমবার ০৫ অক্টোবর সরকারি সিদ্ধান্তে সময়িক বন্ধ থাকা খুলনা অঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলসমূহের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত ভার্চুয়াল মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ সব কথা বলেন।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন সোনালী আঁশের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা, পাট চাষীদের কথা বিবেচনায় নিয়ে এবং ব্যবসা ক্ষেত্রে ভারসাম্য রক্ষায় রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলসমূহকে অবশ্যই চালু রাখবে সরকার। জিটুজি, পিপিপি অথবা লিজিং ব্যবস্থাপনায় অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপন করে পাটকলগুলোকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিনত করা হবে। মিলসমূহ চালু হলে দক্ষ শ্রমিকরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সেখানে চাকুরি পাবেন।
বঙ্গবন্ধুকে বিশ্বাস করে বাঙ্গালি জাতি যেমন ঠকেনি, তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিশ্বাস করেও শ্রমিকরা অবশ্যই ঠকবেন না বলে তিনি দৃঢ়ভাবে উল্লেখ করেন। মিলগুলোর উৎপাদন বন্ধ এই সুযোগে কেউ যেন যন্ত্রপাতি মিলের বাইরে নিয়ে যেতে না পারে সে বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন এবং শ্রমিকদের সতর্ক থাকার তাগিদ দেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, করিম জুটমিলের শ্রমিকদের পাওনা অর্ধেক চেকের মাধ্যমে এবং অর্ধেক সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে দেয়া হয়েছে। অল্প দিনের মধ্যেই খুলনার প্লাটিনাম জুট মিলের শ্রমিকদের পাওনা বুঝিয়ে দেয়া হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, সরকার আপনাদের পাশে আছে, ধৈর্য্য ধরুন। শ্রমিকদের কল্যাণে নেয়া সরকারের এ উদ্যোগে কোন শ্রমিকই ক্ষতিগ্রস্থ হবেন না, বরং লাভবান হবেন। এ মাসের মধ্যেই একাধিক পাটকলের শ্রমিকদের পাওনা বুঝিয়ে দেয়া হবে। শ্রম অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ ইউসুফ আলী, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের উপ মহা-পরিদর্শক মোঃ আরিফুল ইসলাম, খালিশপুর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি একেএম সানাউল্লাহ নান্নু, খুলনা অঞ্চলের ৯ টি পাটকলের সিবিএ নেতৃবৃন্দ মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন।