নাটোর প্রতিনিধি :
নাটোরের বড়হরিশপুরে এক একর ৪৬ শতক জমি ফিরে পাবার দাবী জানিয়ে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছে মৃত রহমত পিকের পরিবার। বৃহস্পতিবার সকালে পৃথকভাবে নাটোরের দুটি প্রেসক্লাবের কনফারেন্সরুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রহমত আলীর ছেলে গোলাম রাব্বানী রনি। লিখিত বক্তব্যে রনি দাবি করেন, তার বাবা রহমত পিকের জীবদ্দশায় তাদের এক একর ৪৬ শতক জমি নিয়ে হযরত আলী গং তিনটি মামলা দায়ের করেন। ওই তিনটি মামলায় রায় হয় তার বাবার পক্ষে। এরপর ২০২০ সালে রহমত আলী মৃত্যুবরণ করলে জমিটি দখলে মরিয়া হয়ে উঠে মরহুম হযরত আলীর স্বজনরা। এরই ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার শহরের এক রেষ্টুরেন্টে তাদের জমিটি নিজেদের বলে দাবী করেন মরহুম হযরত আলীর মেয়ে আনোয়ারা বেগম, ছেলে হাসান আলীসহ সকল ভাইবেনেরা। পরে গত সোমবার সকালে তাদের ফাইভ স্টার ডাল মিলসহ সকল জমি দখলে নিয়ে নেয় হযরত আলীর পরিবারের সদস্যরা। এসময় তারা প্রতিষ্ঠানে এসে অবস্থান নেয় এবং ভাড়াটিয়াদের দোকান ছেড়ে দিতে বলে। এছাড়া মঙ্গলবার প্রতিষ্ঠানের সকল স্টাফদের বিতাড়িত করে হযরত আলীর পরিবারের সদস্যরা। সম্পত্তি ফিরে পেতে প্রধানমন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে মরহুম রহমত আলীর স্ত্রী রুবিয়া বেগম, মেয়ে আফরোজা পারভীন রোজী, ডেইজি পারভীন উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে মরহুম হযরত আলীর ছেলে হাসান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এটি তার পৈতৃক সম্পত্তি। যা তার বাবার সরলতার সুযোগ রহমত আলী জোর করে দখলে লেখেছিল। ভুয়া দলিল থাকায় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে একটা কাকপক্ষিও তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছে না। মূলত দলিল কথা বলবে জমি কার? তারা নন, বরং আগে রহমত প্রাং এবং তার মুুত্যুর পর রহমতের পরিবারের সদস্যরা অবৈধভাবে এ জমি দখল করে আসছেন। জমি দখলে রাখতে তিন শতক জমি এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে লিখেও দিয়েছিলেন তারা। হাসান আলী আরও বলেন, তারা অত্যন্ত দরিদ্র মানুষ। কোটি টাকার জমি থাকতেও তারা গুচ্ছ গ্রামে অনাহারে অর্ধাহারে দিনযাপন করেছেন। তারাও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল ও স্থানীয় প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচার দাবি করেন।