পদ্মা ডেস্ক /
ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলায় গ্রেপ্তার স্থানীয় যুবলীগের তিন নেতাকর্মী জড়িত থাকার দায় স্বীকার করেছে।
এরই মধ্যে তাদের যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এদিকে স্থানীয় সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক জানান, জাহাঙ্গীর এলাকায় ভূমিদস্যু হিসেবে পরিচিত।
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবার ওপর হামলাকারী সন্দেহে স্থানীয় উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর হোসেন ও তার অনুসারী আসাদুল ইসলামকে গ্রেপ্তারের পর রংপুরে র্যাব কার্যালয়ে নেয় হয়েছে। ইউএনওর বাসভবনের সিসিক্যামের ফুটেজ পর্যালোচনা করেই তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তার দুজনই মাদকাসক্ত এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলাও রয়েছে। জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধ সম্প্রতি ঘোড়াঘাট পৌর মেয়রের উপর হামলার অভিযোগে একটি মামলা হয়। ওই মামলায় গ্রেপ্তার হলেও পরে জামিনে বেরিয়ে বেপরোয়া হয়ে ওঠেন তিনি। আর আসাদুল ইসলাম জাহাঙ্গীরের ঘনিষ্ঠ অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইউএনওর বাসভবনের নিরাপত্তা প্রহরী পলাশ ও চিংড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মাসুদকে আটক করেছে ঘোড়াঘাট পুলিশ।
স্থানীয় সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক জানান, এলাকায় ভূমিদস্যু হিসেবে পরিচিত জাহাঙ্গীর। ইউএনও যেহেতু এসিল্যান্ডের দায়িত্বও পালন করেন, সেকারণে জমিসংক্রান্ত কোন বিরোধের জেরে তারা ইউএনওর ওপর হামলা করে থাকতে পারে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ইউএনও ওয়াহিদার ওপর হামলায় জড়িতদের কেউই রেহাই পাবেনা। সেই সঙ্গে উপজেলা কর্মকর্তাদের নিরাপত্তার জন্য কাজ করবে আনসার ব্যাটালিয়ন।
সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, অপরাধী যেই হোক প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করে বলেছেন তাকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
এর আগে বুধবার গভীর রাতে সরকারি বাসভবনের নিরাপত্তা প্রহরীকে আটকে রেখে, ভেন্টিলেটর ভেঙে ঘরে ঢুকে ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলীকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা।
বৃহস্পতিবার (৩রা সেপ্টেম্বর) হেলিকপ্টারে ইউএনওকে ঢাকার নিউরো সায়েন্সেস হাসপাতালে এনে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। জ্ঞান ফিরলেও শঙ্কামুক্ত নন ইউএনও ওয়াহিদা খানম।