নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের দীর্ঘসূত্রিতা ও শিক্ষক সঙ্কট দূরীকরণের লক্ষ্যে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০১৮ এর অপেক্ষামান ৩৭ হাজার পরীক্ষার্থীদের শূন্যপদ পূরনের ভিত্তিতে প্যানেল নিয়ম প্রবর্তন করে নিয়োগ দানের ব্যাপারে সুপারিশ করেছেন মৎস্য ও প্রানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনের সংসদ সদস্য মো. শহিদুল ইসলাম বকুল।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভিশন-২১ এর আওতায় ২০২১ সালের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষার হার শতকরা ১০০ ভাগ উন্নীত করার অঙ্গীকার করেছেন । এ অঙ্গীকারের প্রধান অন্তরায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের ঝড়ে পড়া। এ সমস্যা সমাধানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও শিক্ষক সংকট জনিত সমস্যা থেকেই যাচ্ছে।
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০১৮ এ চূড়ান্ত ভাবে নির্বাচিত ১৮,১৪৭ জন শিক্ষককে সারাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতে পদায়ন করা হয়। তারপরও শিক্ষক সংকট দূর হচ্ছে না। ২০১৮ সালের প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় নাটোর-১ ( লালপুর-বাগাতিপাড়া ) এ প্রায় ২৮ জন শিক্ষককে পদায়ন করার পরও প্রচুর সংখ্যক খালি পদ রয়ে গেছে। করোনা পরবর্তী শিক্ষার ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া, শিক্ষক সংকট দূরীকরণ এবং শিক্ষার গতি ত্বরান্বিত করা অত্যন্ত জরুরী হয়ে পড়েছে।
সম্প্রতি লক্ষাধিক পদে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগের ব্যাপারে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এই শূন্যপদ গুলো নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পূরণ করা বেশ সময় সাপেক্ষ ও কষ্টসাধ্য ব্যাপার। দেখা যাচ্ছে একটি নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করার পরও পূর্বের চাইতে বেশি শূন্যপদ থেকে যাচ্ছে। যার কারণে শিক্ষক সংকট দূর হচ্ছে না ।
চলমান এই শিক্ষক সঙ্কট দূর করতে মাননীয় সাংসদ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০১৮ এ চূড়ান্ত ভাবে সুপারিশ প্রাপ্ত না হওয়া ৩৭ হাজার পরীক্ষার্থীদের প্যানেলে নিয়োগদানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করেন।