নাটোর প্রতিনিধি:
সাভারের এক গার্মেন্টস কর্মী প্রেমিকের সাথে দেখা করতে এসে নাটোরে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তিন ধর্ষকসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে প্রেসব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার এই তথ্য জানান। গ্রেফতারকৃতরা নলডাঙ্গার পাটুল গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে রাশেদ মিয়া, শহরের বড়হরিশপুর এলাকার আব্দুল কাদের পাটোয়ারীর ছেলে রুবেল পাটোয়ারী, একই এলাকার হানিফ মন্ডলের ছেলে ফারুক মন্ডল ও শফিকুল শেখের ছেলে সাদ্দাম শেখ।
পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা সাংবাদিকদের জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরের যুবতী মেয়ে রাজধানীর সাভারে একটি গার্মেন্টসে চাকুরী করেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে সাভারে যাতায়াতের পথে বাসের হেলপার রাশেদ মিয়ার সাথে তার পরিচয় হয় এবং সখ্যতা গড়ে ওঠে। এরপর তারা বিভিন্ন সময় দেখা সাক্ষাত করেন। এক পর্যায়ে গত ১৩ আগষ্ট রাশেদ মিয়া ওই যুবতীকে নাটোরে ডেকে নিয়ে আসে। পরে তারা বিভিন্নস্থানে ঘুরে বেড়ানোর পর রাশেদের এক পরিচিতজনের বাড়ীতে রাত্রীযাপন করে। এরপর দিন রাশেদ মিয়া ওই যুবতীকে নিয়ে বেড়ানোর পর সদর উপজেলার রাজিবপুর গ্রামের একটি বাড়ীতে নিয়ে যায়। সেখানে পূর্ব পরিনকল্পনা মোতাবেক রাশেদের সহযোগীরা ওই যুবতীকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে পরিত্যাক্ত একটি গরুর খামারে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে আসামীদের মধ্যে ফারুক ও রুবেল তাকে মোটর সাইকেলে করে শহরের বড়হরিশপুর বাইপাসে বাসে তুলে দিতে লাগলে যুবতী চিৎকার শুরু করে। এসময় স্থানীয়রা এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভুক্তোভোগী বাদী হয়ে সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ ভুক্তভোগী গার্মেন্টস কর্মীকে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুরে নিজ বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। পরে গতরাতে শহরের বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে তিন ধর্ষক ও হেলপার রাসেদকে গ্রেফতার করে। তাদের চারজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।